বিএনপি দেশের সব শ্রেণি-পেশা ও ধর্মের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ‘রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরে এত বড় একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যে দেশটাকে আবার সুন্দর করে গড়ে তুলবার। কিন্তু আমরা চারদিকে দেখছি যে আমাদের রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন, অনেকে চলে যাচ্ছেন। চারদিকে দেখছি একটা অনৈক্যের সুর। তখন আমরা অনেকেই হতাশ হচ্ছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালেই রেইনবো স্টেটের বিষয়ে বলেছিলেন, যেখানে সব ধর্ম, মত ও পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়েই আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশে বিভাজনের রাজনীতি করেছে এবং ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে, যার ফলস্বরূপ রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। মির্জা ফখরুল জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষ প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার চিত্র দেখতে চায় না, বরং ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করাই মূল লক্ষ্য।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমানে বাইরের কিছু দেশ মিডিয়া ব্যবহার করে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি মহাসচিবের ভাষ্যমতে, জাতিগত অবস্থান, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং বিভিন্ন কারণে দেশে অনেক বিভাজনের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এ অবস্থা থেকে অনেকেই ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা কোনো বিভাজনে বিশ্বাসী নই।

তিনি বলেন, সকল ধর্মের মানুষকে সঙ্গী করে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বিএনপির দর্শন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর করতে হবে থেকে শুরু করে অনেক কথা হচ্ছে, আমারা সেসব বলি না। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম এবং ২০২৪ সালে একটি নতুন করে বাংলাদেশ তৈরি করার নতুন সুযোগ এসেছে। আমরা সকল সম্প্রদায় এই ভূখণ্ডে একসঙ্গে বসবাস করতে চাই এবং সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।

পরিশেষে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিএনপি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।